• Sharankhola Govt. Degree College - Slide
  • Sharankhola Govt. Degree College - Slide
  • Sharankhola Govt. Degree College - Slide
মেনু নির্বাচন করুন

নিয়ম ও প্রবিধান


 

১.      সুষ্ঠ, সুশৃঙ্খল, কোলাহল মুক্ত  পরিবেশ ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

২.      বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করা।

৩.      ক্লাস টেস্ট, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, মডেল টেস্ট গ্রহণ করে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে চূড়ান্ত

        পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা।

৪.      বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য রয়েছে উন্নত ও আধুনিক বিজ্ঞান

        গবেষণাগার।

৫.      সমৃদ্ধ লাইব্রেরী এবং আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব।

৬.      ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক কমনরুম ও খেলাধুলার স্থান।

৭.      স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের জন্য ক্যান্টিনের সু-ব্যবস্থা।

৮.     শিক্ষকগণের তত্ত্বাবধানে সীমিত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক ব্যবস্থা করা হবে।

৯.      মসজিদসহ মেয়েদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে।

১০.    প্রতিমাসে ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়া অগ্রগতি জানানোর জন্য অভিভাবক সমাবেশ করা হয়।

১১.     রোভার  স্কাউট  দলের  মাধ্যমে  জাতীয়  প্রতিযোগীতা  ও  সেবামূলক  কাজে  নিয়মিত 

        অংশগ্রহনের  মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা হয়।

১২.    প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা আছে।

কোর্স সমূহ

  • উচ্চ মাধ্যমিকঃ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক।
  • এইচ.এস.সি (বি.এম)ঃ সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স, কম্পিউটার অপারেশন, হিসাবরক্ষণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং।
  • স্নাতক (পাস)ঃ বি.এ, বি.এস.এস এবং বি.বি.এস।
  • স্নাতক (সম্মান)ঃ সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যব¯া’ পনা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ঃ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি (পাস)।

ভর্তির যোগ্যতা

  1. বিজ্ঞান বিভাগঃ এস.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০০।
  2. ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়ঃ এস.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-৩.০০।
  3. মানবিক শাখায়ঃ এস.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-৩.০০।
  4. এইচ.এস.সি (বি.এম) শাখায়ঃ এস.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-২.০০।
  5. স্নাতক (সম্মান) শাখায়ঃ এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-২.০০ সহ সংশ্লিষ্ট বিষয় জিপিএ-৩.০০।

 

 

 

ভর্তির ফরম বিতরণের সময়

  • নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অফিস চলাকালীন সময় ভর্তি ফরম সংগ্রহ করা যাবে।
  • ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলী নোটিশ বোর্ডে দেয়া আছে।

 

ভর্তির সময় যে সকল সনদ পত্র প্রয়োজন

[উচ্চ মাধ্যমিক (সাধারণ ও বি.এম) শ্রেণির জন্য]

  • এস.এস.সি/সমমানের পরীক্ষার রেজিঃ কার্ড, প্রবেশপত্র ও প্রসংশা পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • এস.এস.সি/সমমানের পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এর মূলকপি এবং সত্যায়িত ০২ (দুই) কপি।
  • ০৪ (চার) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (কলেজ ড্রেসে)।
  • এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি-এর মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ফটোকপি ও ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি। স্নাতক (পাস) কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে।

 

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্য বিষয়সমূহ

(মোট পরীক্ষা ১,৩০০ নম্বর) সকল ধারা আবশ্যিক বিষয়

                             ১. বাংলা                           = ২০০ নম্বর।

                             ২. ইংরেজি                                 = ২০০ নম্বর।

                             ৩. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি      = ১০০ নম্বর।

শাখা

শাখা ভিত্তিক আবশ্যিক বিষয়     

শাখা ভিত্তিক ঐচ্ছিক বিষয়

(একটি নেওয়া যাবে)

বিজ্ঞান

৪. পদার্থ বিজ্ঞান

৫. রসায়ন

৬. জীব বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত

জীব বিজ্ঞান

কৃষি শিক্ষা

উচ্চতর গণিত

মানবিক

৪. ইতিহাস/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি/ভূগোল

৫. পৌরনীতি ও সুশাসন/অর্থনীতি

৬. সমাজবিজ্ঞান/ যুক্তিবিদ্যা

কৃষি শিক্ষা/ইসলাম শিক্ষা

ব্যবসায় শিক্ষা

৪. ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

৫. হিসাববিজ্ঞান

৬. উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন/ ফিন্যান্স,          ব্যাংকিং ও বীমা

উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন/ ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা

 

 

       

 

       

এইচ.এস.সি (বি.এম) শ্রেণির বিষয়সমহূ

 

ক্রঃ নং

স্পেশালাইজেশন

বিষয়ের নাম

 

একাদশ

দ্বাদশ

০১।

কম্পিউটার অপারেশন

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কনসেপ্টস

ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

 

০২।

সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স

সেক্রেটারিয়েল প্রাকটিসেস

লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট

 

০৩।

হিসাবরক্ষণ

প্রোডাকশন প্লানিং ও বীমা    

উচ্চতর হিসাবরক্ষণ

 

০৪।

উদ্যোক্তা উন্নয়ন

ব্যবসায় উদ্যোগ

ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা

 

০৫।

ব্যাংকিং

ফিন্যান্স, ব্যাকিং ও বিমা

ব্যাংকিং ও হিসাবরক্ষণ

 

 

                       

সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ

০১.    আপনার সন্তান নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়া করে কিনা খেয়াল রাখুন।

০২.    প্রতি মাসে  কমপক্ষে  দুইবার  কলেজে এসে  বিষয় ভিত্তিক  শিক্ষকের  সংগে  যোগাযোগ

        রাখুন। আপনার সন্তানের কোন অসুবিধা আছে কিনা।

০৩.    আপনার সন্তান যাতে অসৎ সঙ্গে মিলতে না পারে সে ব্যাপারে সর্তক থাকুন।

০৪.    কোন ছাত্র ও ছাত্রী বাসার ফিরতে বিলম্ব করলে তাৎক্ষণিকভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত

        করুন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য নিন।

০৫.    ছাত্র  ও  ছাত্রীর  আচারণ  কোনো  সমস্যা  থাকলে  কিংবা  বাসার  নিয়মিত  পড়ালেখা  না 

        করলে  অথবা আপনাদের  বা সন্তানের ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা থাকলে  দ্রুত তা সমাধান 

        করে  ফেলুন। প্রয়োজন মনে করলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিন।

০৬.    ছাত্র ও ছাত্রীদের কোনো অপরাধমূলক কাজ গোপন না রেখে তা দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা

        নিন।

০৭.    যে কোনো পরীক্ষার পর পরই ফলাফল সন্তান/পোষ্যের নিকট থেকে বা কলেজের সংশ্লিষ্ট

        শাখা থেকে জেনে নিন।

০৮.    কলেজ থেকে যে কোনো প্রয়োজনে আহ্বান জানানো হলে দ্রুত সহযোগিতা করুন। Parents

   মিটিং-এ পিতা বা মাতার কমপক্ষে একজনকে উপস্থিত থাকতে হবে।

০৯.    ছাত্রদের চুল ছোট রাখা, পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত

        পড়ালেখা করা, সময় মতো কলেজে আসা ও কলেজ থেকে বাসায় ফেরা-এ সব বিষয়গুলো

        প্রতি লক্ষ্য রাখুন। সন্তানকে ভালো ফলাফল অর্জনে সব সময় উৎসাহিত করুন।

১০.    ছাত্র ও ছাত্রীদের বাসায় মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার সীমিত রাখুন।

১১.     যেহেতু ভতির্র   সময় কলেজের যাবতীয় ফি নির্ধা রণ করা হয়েছে, সেহেতু উক্ত ফি ছাড়া

        (জরিমানা ব্যতীত) কোনো  অর্থ  আপনার  সন্তান/পোষ্যকে  দিবেন  না।  ফি  সম্পর্কিত  যে 

        কোনো  বিষয়ে  কলেজের  সাথে যোগাযোগ  করুন  এবং  কলেজের  নির্ধারিত  মানিরিসিপ্ট   

        ছাড়া  কোনো  ফি  প্রদান  করবেন  না।  কলেজের যাতায়াত  ও  টিফিন  খরচ  বাবদ 

        প্রয়োজনীয়  অর্থ  হিসাব  করে  প্রদান  করুন।  মনে  রাখবেন  প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ

        আপনার সন্তানকে বিপথগামী করতে পারে।

১২.    কলেজ সম্পর্কে আপনার যে কোন অভিযোগ পরামর্শ সরাসরি অধ্যক্ষকে অবহিত করুন। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি।

 

*অন্যান্য নিয়ম ও শৃঙ্খলাঃ

০১. ব্যক্তিগত  ফাইলঃ  ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর ফাইলে তার বায়োডাটা, ছবি, সকল সনদের

     ফটোকপি, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ক্লাশে উপস্থিতির শতকরা হার এবং লেখা-পড়ার অগ্রগতির           

     তথ্য ইত্যাদি কলেজের একজন তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা এগুলো সংরক্ষণ করা হয়।

০২. কলেজের ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ডঃ কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত পোষাক পরিধান করা ও আইডি

    কার্ড বহন করা বাধ্যতামূলক তাছাড়া কলেজের কোন ক্লাশ ও কলেজ থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ

    করতে হলে অবশ্যই ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

০৩. ছাত্রদের ড্রেসঃ

     প্যান্টঃ লুস ফিটিং অ্যাশ রং-এর কাপড় দ্বারা তৈরি করতে হবে।

     শার্টঃ নেভিব্লু ফুল/হাফশার্ট (সোল্ডার-৪’’×১.৫’’) সর্বদাই ইন করতে হবে।

     জুতাঃ কালো এবং অ্যাশ মোজা, বেল্ট ০১ ইঞ্চি চওড়া কালো রং।

 

০৪. ছাত্রীদের ড্রেস

পায়জামাঃ লুস ফিটিং সাদা রং-এর কাপড় দ্বারা তৈরি করতে হবে।

কামিজঃ নেভিব্লু

ওড়নাঃ সাদা

স্কার্পঃ সাদা

বোরকাঃ মুসলিম মেয়েরা নেভিব্লু রং-এর বোরকা পড়তে পারবে।

 

০৫. শারিরীক  সুস্থ্যতা  ও  পরিষ্কার  পরিচ্ছন্নতাঃ ভাল স্বাস্থ্যের জন্য শিক্ষার্থীরা নখ লম্বা রাখতে  

     পারবে না। ছাত্রদের চুল ছোট করতে হবে এবং পুরাতন ও বেমানান পোষাক অবশ্যই পরিহার

     করতে হবে।

০৬. পরিচয়  পত্র শিক্ষার্থীরা  অবশ্যই  কলেজ  কর্তৃক  সরবরাহকৃত  পরিচয়  পত্র  বহন করবে। 

     পরিচয়  পত্র হারিয়ে  গেলে  ১০০/-  (একশত)  টাকা  ফি  কলেজের  অফিসে পরিশোধ  করে 

     নতুন  পরিচয়  পত্র  জন্য আবেদন করতে হবে।

০৭. গাইড শিক্ষকশিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য

     প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন গাইড শিক্ষক সর্বদা তদারকি করেন শিক্ষার্থী ও

     অভিভাবকেরা তার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা  

      সংশিষ্ট গাইড শিক্ষকের সাথে বেলা ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে ১২.০০ টার মধ্যে সাক্ষাৎ করতে

      পারবে।

০৮. শ্রেণি  প্রতিনিধিপ্রত্যেক শাখার  জন্য  শিক্ষার্থীদের  মধ্যে  থেকে  একজন  শ্রেণি প্রতিনিধি 

     নির্বাচন  করা হয়। তারা শ্রেণি কক্ষের সাবির্ক    নিয়মশৃক্সখলা এবং কো-অডিনেটারের সাথে

     যোগাযোগ রক্ষা করে।

০৯. ডিউটি  রোস্টার  (তদারকি  দল)ঃ  ০৭ জন সদস্য নিয়ে প্রত্যেকটা ক্লাস পরিদর্শণকারী দল

     গঠিত হয়। তারা প্রতি কার্য দিবসের শুরুতেই কলেজের সার্বিক শৃঙ্খলা তদারকি করেন।

     প্রতিদিন সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে-এর পূর্বেই তাদের উপস্থিতিতে কলেজের গেট খুলে দেয়া হয়।

১০. শ্রেণি  উপস্থিতিঃ শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন  ক্লাসে  উপস্থিতি  বাধ্যতামূলক ৭০%  এর  কম 

     উপস্থিতি  হলে তাকে নন কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিদিন অনুপস্থিতির জন্য ২০

     টাকা জরিমানা দিতে হবে।

১১. জরিমানাঃ মাসিক পরীক্ষা অংশগ্রহন না করলে ১০০/- (একশত) টাকা জরিমানা দিতে হবে

    এবং মডেল টেস্ট, অর্ধ-বার্ষিক, বার্ষিক এবং প্রি-টেষ্ট এর যে কোন একটিতে অংশগ্রহণ না করলে

    ২০০/- (দুইশত) টাকা জরিমানা দিতে হবে।

১২. আচরণ  বিধিঃ  প্রত্যেক  শিক্ষার্থীকে  ক্লাশ  শুরুর  ১০  মিনিট  পূর্বে  কলেজে  উপস্থিত 

     হতে  হবে।  বিলম্বে উপস্থিত হলে ঐদিনের জন্য ক্লাস করতে দেয়া হবে না।

আচারণ বিধির আরো কিছু উল্লেখযোগ্য দিকঃ

  • কলেজের পূর্ণ  ইউনিফর্ম  ছাড়া কোন শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
  • অধ্যক্ষকে না জানিয়ে একাধারে ১৫ দিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলে ভর্তি বাতিল করা হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে রুটিন অনুযায়ী বই, খাতা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কলেজে আনতে হবে।
  • কলেজের সকল নিয়ম শৃঙ্খলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
  • আইডি কার্ড ছাড়া কোন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাস্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কোন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তাকে কলেজ থেকে ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।
  • অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় নকল করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে এবং পুনরায় তাকে ঐ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করতে হবে।
  • কলেজের বেঞ্চে অথবা দেয়ালে কোন প্রকার লেখা সম্পূর্ণ  নিষিদ্ধ।
  • শিক্ষার্থীরা কোন অশোভন আচারণ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে দূরে রাখবে।

 

পাঠ পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য দিকসমহূ

০১. একাডেমিক  ক্যালেন্ডার  অনুযায়ী  পাঠদানঃ এ পদ্ধতিতে বোর্ডের  দুই বছরের সিলেবাসকে

    একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঁচটি টার্মে (মডেল টেস্ট, অর্ধ-বার্ষিক, বার্ষিক, প্রি-টেষ্ট এবং

    টেষ্ট) ভাগ করা হয়। প্রতি টার্মে নির্ধারিত ক্লাসের সংখ্যা অনুযায়ী অধ্যাসমূহ সাজিয়ে টার্ম

    ভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়।

০২. পাঠ  পরিকল্পনাঃ বছরের শুরুতেই শিক্ষকগণ সকল বিষয়ের পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে 

    শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। কোন ক্লাশে কোন বিষয় কোন অধ্যায় পড়ানো হবে তা পাঠ

    পরিকল্পনায় উল্লেখ থাকে। ফলে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরপরই তার কলেজের সারা

    বছরের পাঠ পরিকল্পনা জানতে পারে।

০৩. মানসম্মত  নোটঃ কোনো  বিষয়ের  লেকচার  শুরুর  পূবের্ই  ছাত্রছাত্রীদে উপযোগী 

     মানসম্মত  হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয় (অধ্যক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ)। ছাত্রছাত্রীরা এই নোটের

     সঙ্গে নিজের সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ড প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।

০৪. সম্পূর্ণ  বই  পড়ানো  হয়ঃ চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে প্রতিটি বিষয়ের মূল বই শুরু থেকে শেষ

     পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে  পড়ানো  হয়।  সেই  সাথে  শ্রেণিকক্ষেই  ছাত্রছাত্রীদের  প্রতিটি 

     অধ্যায়ের  সকল  সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করানো হয়।

০৫. বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থাঃ কলেজটি আবাসিক প্রতিষ্ঠিত বিধায় হরতাল ও অবরোধে ক্লাস

     অব্যাহত থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অনিবার্য কারণে ক্লাস চালানো সম্ভব না হলে

     পরবর্তী নির্ধারিত ছুটির দিনে বিকল্প ক্লাসসমূহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

০৬. ব্যবহারিক  ক্লাসঃ শ্রেণিকক্ষে পঠিত তত্ত্বীয় বিদ্যাকে আরো কার্যকর এবং বাস্তবজীবনে

     দক্ষভাবে কাজে লাগানোর  প্রয়োজনে  ছাত্রছাত্রীদের  পরীক্ষাগারে  হাতে  কলম  (Hands On

     শিক্ষা  দেওয়া  হয়।  এ প্রক্রিয়ায়  শিক্ষা  ব্যবহারিক  রূপ  পায়।  এসব  বিবেচনায় শরণখোলা 

     অনার্স  কলেজ  দেশে  একটি  নতুন শিক্ষা ধারার সূচনা করবে- এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

    বিশ্বমানের (World Class) শিক্ষা প্রদানে শরণখোলা অনার্স কলেজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাফল্যের

    র্শীর্ষে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

০৭. কোচিং  ক্লাসঃ নির্ধারিত  ক্লাসের  বাইরে  অতিরিক্ত  সময়ে  শিক্ষকদের  প্রত্যক্ষ  এবং 

     নিবিড়  তত্ত্বাবধানে অপেক্ষাকৃত দুবর্ল এবং কম মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রা ইভেট কোচিং-

     এর বিকল্প হিসেবে কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়।

*সহ পাঠ্যক্রম ব্যবস্থা

সহ  পাঠ্যক্রম  ব্যবস্থাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক সুসমন্বিত উৎকর্ষ  সাধনের  লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম ভিত্তিক কর্মসূচির পাশাপাশি সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

       ১) এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল নিয়মিত খেলা হয়।

       ২) টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবা লুডু প্রভৃতি আন্তঃকক্ষ খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা   

           রয়েছে।

      ৩) শিক্ষার্থীদের  মধ্যে  সাংস্কৃতিক  চেতনা  উজ্জীবিত  করার  লক্ষ্যে  সাপ্তাহিক  কুইজ, 

          ইংরেজী  মাধ্যমে বিতর্ক, হামদ-নাথ, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকে।

      ৪) জাতীয় দিবসগুলোতে সঙ্গীতানুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়।

      ৫) নিয়মিত প্রকাশ করা হয় কলেজের বার্ষিকী, বলেশ্বর ম্যাগাজিন।

*হোস্টেল বিষয়াদি

  • হোস্টেলের ভর্তি ফিঃ ১,২০০/-(এক হাজার দুই শত টাকা মাত্র) যা মাসিক বেতনের সাথে সমন্বয়  করা হয়।
  • সিট ভাড়া প্রতি মাসেঃ ১০০/- (একশত টাকা মাত্র)

 

*হোস্টেল কর্তৃপক্ষ যেসব সুবিধা প্রদান করবেঃ

   ০১. ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেলের ব্যবস্থা।

   ০২. দায়িত্বশীল ও দক্ষ পুরুষ এবং মহিলা হোস্টেল সুপার।

   ০৩. হোস্টেলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

   ০৪. সাপ্তাহিক মেনু অনুযায়ী মানসম্মত খাবার পরিবেশন।

   ০৫. বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ।

   ০৬. স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার রুম।

   ০৭. সার্বক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা। অসুস্থতাজনিত দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা (প্রয়োজনে উন্নতমানের  

        হসপিটালে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা, তবে এ ক্ষেত্রে অভিভাবককে ব্যয় বহন করতে হবে)।

   ০৮. সন্ধ্যা ০৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পড়ালেখার মনিটরিং সুবিধা।

        (অধ্যক্ষ কর্তৃক সংরক্ষিত)

   ০৯. অভিভাবকগণের সাথে নিয়মমাফিক যোগাযোগের জন্য মোবাইল সার্ভিস।

   ১০. মেয়েদের হেস্টেলে মহিলা ও ছেলেদের  হোস্টেলে পুরুষ হোস্টেল সুপার ও সাপোর্টিং  স্টাফ 

        কর্তৃক সাবর্ক্ষণিক সেবা প্রদান।

   ১১.  অসুস্থ থাকলে আলাদা রুমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান।

 

হোস্টেলের রুমে যে সকল সুবিধা থাকবেঃ

০১. খাট,       ০২. পড়ার টেবিল,     ০৩. চেয়ার,    ০৪. ডাইনিং টেবিল,

০৫. গোসলের বালতি ও মগ,  ০৬. ফ্যান,     ০৭. লাইট,    ০৮. মশারি।

 

যে সকল উপকরণ ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেলে আনতে হবেঃ

০১. তোশক, বালিশ এবং বিছানার চাদর, বালিশের কভার, প্লেট, গ্লাস।

০২. টেবিল ল্যাম্প।

০৩. লেপ/কম্বল।

০৪. ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র ও পোশাক।

০৫. ট্রাংক/সুটকেস।  একজন  ছাত্র-ছাত্রীকে  মাসে  ২,০০০  টাকা  হোস্টেলের  চার্জ  প্রদান 

     করতে  হবে।  তবে বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতি হলে খাবার খরচ বৃদ্ধি পাবে যা ছাত্র-ছাত্রী ও

     অভিভাবককে মেনে নিতে হবে। হোস্টেল ফি ও চার্জসমূহ প্রতিমাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে বা

    তার পূর্বে পরিশোধ করতে হয়।

 

হোস্টেলের সাপ্তাহিক খাবার তালিকাঃ (প্রস্তাবিত)

বার

সকাল

দুপুর

রাত

শনিবার

রুটি+ডাল+ভাজি/সুজির হালুয়া 

মাছ (সবজি)/ডিম+ডাল

মুরগি (আলু)+ডাল

রবিবার

ভাত+আলু ভর্তা+ ডাল  

মুরগি (আলু)+ডাল

মাছ (সবজি)/ডিম+ডাল

সোমবার

তেহারী (মুরগী)+লেবু

মাছ (সবজি)/ডিম+ডাল

ডিম+(চিংড়ি+সবজি)+ডাল

মঙ্গলবার

রুটি+ডাল+ভাজি/সুজির হালুয়া

মুরগি (আলু)+ডাল

মাছ (সবজি)/ডিম+ডাল

বুধবার

সবজি খিচুড়ী+ লেবু

মাছ (সবজি)/ডিম+ডাল

ডিম+(চিংড়ি+সবজি)

বৃহস্পতিবার

পরটা+ডাল+ভাজি/সুজির হালুয়া

মুরগি (আলু)+ডাল

মাছ+সবজি/ডিম/মুডিঘন্ট

শুক্রবার

ভাত+আলু ভর্তা+ ডাল

গরু/মরুগি+ডাল+লেবু

ডিম+ভাজি+ডাল

                       

[কর্তৃপক্ষ বিশেষ কারণে খাদ্য তালিকা পরিবর্তনের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। এই খাদ্য তালিকা এক বছরের জন্য প্রযোজ্য।]

হোস্টেল নিয়মাবলি

 

 

আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ঃ

০১. হোস্টেলে মোবাইল, সিম, এফএম রেডিও. এমপি ৩/৪/৫, সিডি প্লেয়ার, ওয়াটার হিটার, অস্ত্র,

     ছুরিসহ অন্য যে কোন ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য সামগ্রী রাখা বা ব্যবহার করা যাবে না।

০২. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোস্টেলে সমুদয় ফি পরিশোধ করতে হবে।

০৩. হোস্টেলের কোন সম্পদ নষ্ট করা যাবে না। সম্পদ নষ্টের কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ

     পাওয়া গেলে উপযুক্ত জরিমানা আদায়সহ হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

০৪. নির্দিষ্ট অভিভাবক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে ছাত্র-ছাত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কোন সুযোগ

     দেওয়া হয় না।

০৫. এক রুমের ছাত্র-ছাত্রী অন্য রুমে আসা-যাওয়া করতে পারবে না।

০৬. প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী তার নিজের রুম সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে।

০৭. হোস্টেলের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকালের নাস্তা, দুপুর খাবার ও রাতের খাবার খেতে হবে।

০৮. কোন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত হোস্টেল সুপারকে অবহিত করবে।

০৯. কখনই হোস্টেলে হৈ চৈ করা যাবে না। কোন শৃঙ্খলা-বিরোধী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ

    পাওয়া গেলে হোস্টেল থেকে বহিষ্কারসহ যে-কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১০. বিশেষ কোন প্রয়োজনে হোস্টেলের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে হোস্টেল সুপারের অনুমতি

     নিতে হবে।

১১. হোস্টেলের দেয়াল নোংরা করা কিংবা দরজায় কোন লেখা বা ছবি আঁকা যাবে না। করলে

     ৫,০০/- (পাঁচ শত টাকা) জরিমানা করা হবে।

১২. হোস্টেলে কোনো মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী রাখা যাবে না। যে কোনো মালামাল নিজ দায়িত্বে

    রাখতে হবে। কোন মালামাল হারিয়ে গেলে তার জন্য হোস্টেল কর্র্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব গ্রহণ  

    করবে না।

১৩. আবাসিক অন্য কোন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে বা হোস্টেলের কোন কর্মকর্তা, কর্মচারীর সাথে অশোভন

     আচরণ করা যাবে না।

 

১৪.    বাজার মূল্য ও অন্যান্য ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে হোস্টেল চার্জও পরিবতর্নযোগ্য।

---------0---------